স্বরধ্বনি

- বাংলা বাংলা ভাষা (ব্যাকরণ) | - | NCTB BOOK
4k
4k

স্বরধ্বনি : যে সকল ধ্বনি উচ্চারণের সময় ফুসফুস-তাড়িত বাতাস বেরিয়ে যেতে মুখবিবরের কোথাও কোনো প্রকার বাধা পায় না, তাদেরকে বলা হয় স্বরধ্বনি (Vowel sound) । স্বরবর্ণ : অ আ ই ঈ উ ঊ ঋ এ ঐ ও ঔ(১১টি)

হ্রস্ব স্বরধ্বনি

1.5k
1.5k

 হৃস্ব স্বরধ্বনি:

যে স্বরকে উচ্চারণ করতে কম সময় ও কম শ্বাসবায়ু লাগে, তাকে হ্রস্বস্বর বলে।

 হৃস্বস্বর কোনগুলি?

 অ, ই,উ,ঋ - বাংলা বর্ণমালার এই চারটি স্বর হ্রস্বস্বর।

Content added || updated By

দীর্ঘ স্বরধ্বনি

2.6k
2.6k

দীর্ঘ স্বরধ্বনি: 

 যে স্বরকে উচ্চারণ করতে অপেক্ষাকৃত বেশি সময় ও বেশি শ্বাসবায়ু লাগে তাকে দীর্ঘস্বর বলে।

 দীর্ঘস্বর কোনগুলি?

 বাংলা বর্ণমালার আ, ঈ,ঊ, এ, ও – এইগুলি দীর্ঘস্বর।

সুতরাং বোঝা গেল বাংলা বর্ণমালায় যে ১১টি স্বর আছে, তার মধ্যে ৫টি দীর্ঘস্বর, ৪টি হ্রস্বস্বর ও ২টি যৌগিক স্বর। তবে মনে রাখতে হবে, বাংলা ভাষায় দীর্ঘ স্বরের প্রকৃত উচ্চারণ হয় না, সব স্বরই সাধারণ উচ্চারণে হ্রস্বস্বর হিসেবেই উচ্চারিত হয়।

Content added || updated By

মৌলিক স্বরধ্বনি

1.2k
1.2k

মৌলিক স্বরধ্বনি :

একটিমাত্র মূল স্বরধ্বনিকে মৌলিক স্বরধ্বনি বলে। মৌলিক স্বরধ্বনি মোট সাতটি। যেমন : অ, আ, ই, উ, এ, এ্যা, ও। এগুলোকে বিশ্লেষণের মাধ্যমে ভাগ করা যায় না। বাংলা ভাষায় ‘এ্যা’ ধ্বনিটি থাকলেও তার জন্য কোনো বর্ণ নেই।

Content added By

যৌগিক স্বরধ্বনি

1.9k
1.9k

যৌগিক স্বরধ্বনি : 

যদি পাশাপাশি দুটি স্বরধ্বনি দ্রুত উচ্চারণের ফলে একটি যুক্তধ্বনিতে রূপ নেয়, তবে তাকে যৌগিক স্বরধ্বনি বলে। যেমন : অ + ই = ঐ, অ + উ = ঔ। এসব ধ্বনিকে দ্বিস্বর, সন্ধিস্বর বা যৌগিক স্বরও বলা হয়। বাংলা বর্ণমালায় শুধু ঐ এবং ঔ-এ দুটি যৌগিক বর্ণকে মৌলিক বর্ণের মতো স্থান দেওয়া হয়েছে। বাংলা ভাষায় যৌগিক স্বরধ্বনির সংখ্যা ২৫টি। অ + ই = অই (বই)

অ + য় = অয় (হয়, সয়)

আ + ই = আই (খাই, নাই, ভাই)

আ + এ = আয় (গায়, যায়)

Content added By

সম্মুখস্থ বা প্রসারিত স্বরধ্বনি

921
921

সম্মুখ : 

এক্ষেত্রে জিহ্বার সামনের দিকটা তালুর দিকে উত্থিত হবে। এই জাতীয় মৌলিক স্বরবর্ণগুলো হলো- ই, এ এবং এ্যা ।

Content added By

পশ্চাৎ ভাগস্থ স্বরধ্বনি

979
979

পশ্চাৎভাগস্থ স্বরধ্বনি কাকে বলে :-

 যে সব স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় জিহ্বা পিছনের দিকে পিছিয়ে যায়, তাকে পশ্চাৎ ভাগস্থ স্বরধ্বনি বলে। যেমন- উ, ও, অ৷

Content added || updated By

কুঞ্চিত স্বরধ্বনি

1.3k
1.3k

কুঞ্চিত স্বরধ্বনি কাকে বলে :-

 যে সব স্বর ধ্বনিগুলো উচ্চারণের সময় ঠোঁট দুটি গোলাকার কুঞ্চিত হয়, তাকে কুঞ্চিত স্বরধ্বনি বলা হয়। যেমন- অ, উ, ও।

Content added || updated By

সংবৃত স্বরধ্বনি

2k
2k

সংবৃত (Close) :

 জিহ্বা তালুর কাছাকাছি এনে বায়ু চলাচলের জন্য একটি সঙ্কীর্ণ পথ তৈরি করা হয়। এই অবস্থায় উচ্চারিত ধ্বনিগুলোকে সংবৃত বলা হয়। তালু সংলগ্ন ধ্বনি হিসাবে এদেরকে তালব্য বর্ণ বলা হয়। এক্ষেত্রে ঠোঁট প্রসারিত থাকে। পাশের চিত্রে সংবৃত উচ্চারণে জিহ্বার অবস্থান দেখানো হলো। লক্ষ্য করুন, এখানে ই ধ্বনিটির জন্য জিহ্বার সম্মুখভাগ প্রায় তালু সংলগ্ন হয়েছে এবং উ ধ্বনিটির জন্য জিহ্বার পশ্চাত্ভাগ প্রায় পশ্চাৎ তালুর সংলগ্ন হয়েছে।

Content added || updated By

বিকৃত স্বরধ্বনি

1.1k
1.1k

বিবৃত (Open) :

এই জাতীয় ধ্বনি উচ্চারণে জিহ্বা ও তালুর ভিতর সব চেয়ে বেশি ফাঁকা জায়গার সৃষ্টি হয়। মুখ প্রসারিত করে এই ফাঁকা জায়গার পরিমাণকে আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়। বাংলাতে এই জাতীয় স্বরবর্ণটি হলো আ। এক্ষেত্রে জিহ্বা স্বাভাবিকভাবে নিম্ন চোয়াল বরাবর শায়িত থাকবে। দীর্ঘ বা হ্রস্ব আ হিসাবে এর কোন পরিবর্তন ঘটবে না। আরবি ভাষার গলকক্ষ থেকে উচ্চারিত আ ধ্বনিটির ক্ষেত্রেও একই রীতি অনুসৃত হবে। কখনো কখনো জিহ্বার পশ্চাৎ অংশ ভিতরের দিকে সংকুচিত করে আ ধ্বনিটি উচ্চারণ করা হয়। এই ধ্বনিটিও বাংলাতে নেই। পাশের চিত্রে বিবৃত অবস্থায় আ ধ্বনির উচ্চারণে জিহ্বার অবস্থান দেখানো হল।

Content added || updated By

কণ্ঠ্যধ্বনি

944
944

কণ্ঠ্যধ্বনি কি :-

 যে সমস্ত ধ্বনির উচ্চারণ স্থান কণ্ঠনালির উপরিভাগ বা জিহ্বামূল, তাদের কণ্ঠ্যধ্বনি বলে। যেমন- অ আ।

Content added || updated By

তালব্যধ্বনি

988
988

তালব্যধ্বনি কি :-

 যে সমস্ত ধ্বনির উচ্চারণ স্থান তালু, তাদের তালব্য ধ্বনি বলে। যেমন- ই, ঈ, তালব্যধ্বনি।

Content added || updated By

ওষ্ঠ্যধ্বনি

876
876

ওষ্ঠ্যধ্বনি:-

 যে সমস্ত ধ্বনির উচ্চারণ স্থান ওষ্ঠ, তাদের ওষ্ঠ্যধ্বনি বলে। যেমন:-

 উ, ঊ,

Content added || updated By

কণ্ঠ্যতালব্যধ্বনি

767
767

কণ্ঠ্যতালব্যধ্বনি :-

যে সমস্ত ধ্বনির উচ্চারণ স্থান কণ্ঠ এবং তালু উভয়ই, তাদের কণ্ঠ্যতালব্য ধ্বনি বলে। যেমন- এ ঐ কণ্ঠ্যতালব্য ধ্বনি।

Content added || updated By

কণ্ঠৌষ্ঠ্যধ্বনি

957
957

কণ্ঠৌষ্ঠ্যধ্বনি :-

যে সমস্ত ধ্বনির উচ্চারণ স্থান কণ্ঠ ও ওষ্ঠ, তাদের কণ্ঠৌষ্ঠ্য ধ্বনি বলে। যেমন- ও, ঔ কণ্ঠৌষ্ঠ্য ধ্বনি।

Content added || updated By

মূর্ধন্যধ্বনি

1k
1k

মূর্ধন্য ধ্বনি :-

যে সমস্ত ধ্বনির উচ্চারণ স্থান মূর্ধা বা তালুর অর্থভাগ, তাদের মূর্ধন্য ধ্বনি বলে। যেমন- ঋ

Content added || updated By
Promotion